3 Days
Ecotourism
24 persons
কক্সবাজার
অবস্থান ও পরিচিতি
কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তর। কক্সবাজার শহরটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, কুমিল্লা, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বগুড়া ও রংপুর নগরীর পর বাংলাদেশের দশম বৃহত্তম শহর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম নগরীর পর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
ঐতিহাসিক পটভূমি
নবম শতাব্দীর গোড়ার দিকে কক্সবাজার আরাকান রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৬১৬ সালে মুঘলরা এই অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং মুঘল সম্রাট শাহ সুজা এখানে ক্যাম্প স্থাপনের আদেশ দেন। কক্সবাজারের নাম এসেছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিসার ক্যাপ্টেন হিরাম কক্সের নাম থেকে। তিনি আরাকান শরণার্থীদের পুনর্বাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
পর্যটন আকর্ষণ
কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে বিশ্বের দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত রয়েছে যা ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এছাড়া এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। পর্যটকদের জন্য এখানে অনেক হোটেল, মোটেল এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক কার্যক্রম যেমন প্যারাসেলিং, ওয়াটার বাইকিং ইত্যাদি উপলব্ধ।
পরিবহন ব্যবস্থা
কক্সবাজার ঢাকা থেকে ৪১৪ কি.মি. দূরে অবস্থিত এবং এটি সড়ক ও আকাশপথে সহজেই পৌঁছানো যায়। সম্প্রতি কক্সবাজারে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে যা ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।
সংস্কৃতি ও জনগণ
কক্সবাজারে বিভিন্ন উপজাতি বা নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী বাস করে যার মধ্যে রাখাইন সম্প্রদায় প্রধান। এখানকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র তীর্থস্থানও রয়েছে।
এই তথ্যগুলো থেকে বোঝা যায় যে কক্সবাজার একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ স্থান যা পর্যটকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ।